শুরু থেকে অ্যান্ড্রয়েড: এক নজরে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্ট
() translation by (you can also view the original English article)
ভূমিকা
২০১৬ সালের এই প্রথমভাগে, এক বিলিয়নেরও বেশি মানুষ সক্রিয়ভাবে অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহার করছেন। অ্যান্ড্রয়েড একটি ইউনিক্সের মত মোবাইলের অপারেটিং সিস্টেম যা ফোন, ট্যাবলেট, স্মার্ট টিভি, স্মার্ট ঘড়ি এবং আরো কিছু ডিভাইসে ব্যবহার হয়। যদিও এর উন্নয়ন এবং রক্ষণাবেক্ষণ গুগল করে থাকে, এটি ফ্রি এবং উন্মুক্ত সোর্স সফটওয়্যার যা যে কেউ নিজের মত পাল্টে নিতে পারে। ফলে, অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসগুলো কয়েকটি প্রধানতম ডিভাইস প্রস্তুতকারক, যেমন স্যামসাং, এলজি, সনি এবং এইচটিসি উৎপাদন করে থাকে।
অ্যান্ড্রয়েডের সাফল্যের পেছনে মূল ভূমিকাটি পালন করে আসছে গুগল প্লে, যেখানে অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাপগুলোর বিপনন হয়ে থাকে আর ব্যবহারকারিরা সেখান থেকে এগুলো ডাউনলোড করে তাদের ডিভাইসে ইনস্টল করতে পারেন। লক্ষ লক্ষ অ্যাপ আর হাজার কোটি ডাউনলোডের বদৌলতে, গুগল প্লে তার সমকক্ষ অন্য যেকোনো প্ল্যাটফরম যেমন আইওএস এবং উইন্ডোজ ১০ এর তুলনায় অনেক বড় এবং এর ট্রাফিক তাদের তুলনায় ঢেড় বেশি।
আমি নিশ্চিত আপনি এবারে ভাবতে শুরু করেছেন আপনি নিজেও কী করে অ্যান্ড্রয়েডের জনপ্রিয়তার সুযোগ নিয়ে অ্যাপ ডেভেলপার হিসেবে আয় শুরু করতে পারেন। আর্টিকেলটিতে আমি আজ পর্যন্ত অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের অবস্থাটি সম্পর্কে একটু ধারণা দিতে চেষ্টা করবো।
নেটিভ অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ্লিকেশন ডেভেলপমেন্টের অনেকগুলো উপায় আছে। এই সিরিজে আমরা মূলত নেটিভ উপায়টিই জানবো, কেননা, নেটিভ অ্যাপগুলোর কার্যক্ষমতা অনেক বেশি, সবচেয়ে কম রিসোর্স নিয়ে রান করে এবং অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমের সম্পূর্ণ কার্যক্ষমতার ব্যবহার করতে পারে।
নেটিভ অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপগুলো জাভা প্রোগ্রামিং ভাষা ডেভেলপ করা হয় আর যেসব ডিভাইসে অ্যান্ড্রয়েড ৫.০ বা তদূর্ধ্ব চলে, সেগুলোতে ম্যানেজড রানটাইম তথা অ্যান্ড্রয়েড রানটাইম (ART) এর ব্যবহার করতে পারে। এ ধরনের অ্যাপ তৈরি করতে বেশিরভাগ ডেভেলপার গুগলের তৈরি অফিসিয়াল অ্যান্ড্রয়েড আইডিই অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও ব্যবহার করে থাকেন। অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিওটি ফ্রি এবং এটি উইন্ডোজ, ওএস এক্স এবং প্রায় সকল লিনাক্স ডিস্ট্রিবিউশনেই চলে।
বর্তমান সুস্থিত রিলিজ অর্থাৎ অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও ১.৫.১-এ আছে এমন অনেক বৈশিষ্ট্য যা অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভলপমেন্টের সকল বিষয়কেই আরও সহজীকরণ করে দেবে, যেমন আছে একটি শক্তিশালী কোড এডিটর, ভিজুয়াল লেআউট এবং থিম এডিটর, ভেক্টর এবং ইমেজ অ্যাসেট স্টুডিও এবং আরও অনেক কিছু। অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও ২.০, যা এখনও পর্যন্ত একটি প্রিভিউ রিলিজ হিসেবে পাওয়া যাচ্ছে, অনেকগুলো অ্যাডভান্সড ফিচার দিচ্ছে যেমন ইনস্ট্যান্ট রান এবং জিপিইউ প্রোফাইলার, যার ফলে অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট আরও উন্নত ও দক্ষভাবে করা যায়।
অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও এর সাথে আছে একটি বাস্তব সম্মত ইমুলেটরও, যেটি ব্যবহার করতে পারেন আপনার কোনো অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইস না থাকলে। যেহেতু এর সিস্টেম ইমেজগুলো বিনামূল্যেই প্রাপ্য, আপনি তাতে যেকোনো সংস্করণের অ্যান্ড্রয়েড নামিয়ে তাতে ব্যবহার করে দেখতে পারেন সহজেই।
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলাপরদের চ্যালেঞ্জগুলো
একটি বিশেষ অ্যান্ড্রয়েড ফোন বা ট্যাবলেটে চলবে এমন একটি অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ বানানো অনেকটাই সহজতর। তবে, সকল অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসেই ভালোভাবে চলবে এমন অ্যাপ বানানো কিন্তু যথেষ্টই কঠিন হতে পারে, এর কারণ অপারেটিং সিস্টেমের ব্যাপক পার্থক্য, নানান ধরণের স্ক্রিনের আকার এবং ডিভাইসগুলোর বিভিন্ন কার্যকারিতা।
পুরানো অ্যান্ড্রয়েড সংস্করণের জন্য সাপোর্ট
অ্যাপল-এর আইওএস ডিভাইসের মত বারংবার সফটওয়্যার আপডেট আসে না বেশিরভাগ অ্যান্ডয়েড ডিভাইসের জন্যই, এটা বলা যায়। মার্শম্যালো, যা সর্বশেষ সংস্করণের অ্যান্ড্রয়েড, বর্তমানের মাত্র ১.৫% অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসে পাওয়া যাবে, যদিও এটির রিলিজ হয়েছে বেশ কয়েক মাস আগে।
এর মানে হচ্ছে, যদি আপনি একটি অ্যাপ বানাতে চান, তাহলে আপনাকে পুরানো সংস্করণের অ্যান্ড্রয়েড এর কথাও ভাবতে হবে, যেমন কিটক্যাট এবং ললিপপ। তদুপরি, যদি আপনার ব্যবহারকারির প্রধান অংশ হয় উন্নয়নশীল দেশগুলো থেকে, তাহলে সেই পুরানো সংস্করণের অ্যান্ড্রয়েড জিনজারব্রেড থেকে সাপোর্ট দেয়াই ভালো হবে। এটা করা যদিও বেশ সহজ, অ্যান্ড্রয়েড সাপোর্ট লাইব্রেরি তো আছেই, থার্ড পার্টি অনেক ওপেন সোর্স লাইব্রেরিরও সহায়তা পাবেন।
নানান আকারের স্ক্রিন এবং ঘনত্বের জন্য
অ্যান্ড্রয়েড-এর শুরুর দিকে, কেবল হাতেগোণা কিছু ডিভাইসেই অ্যান্ড্রয়েড চলত আর সেগুলোর প্রায় সবই ছিল ফোন। বছর যত গিয়েছে, ততই অনেক নতুন ডিভাইস প্রস্তুতকারক আস্তে আস্তে অ্যান্ড্রয়েড প্লাটফর্মে এসেছে, আর তার ফলে ডিভাইসের স্ক্রিনের আকার আর পিক্সেলের ঘনত্বের পরিমাণেও এসেছে ব্যাপক তারতম্য।
অ্যান্ড্রয়েড হানিকম্ব প্রকাশ হবার পর, অ্যান্ড্রয়েড বিশাল আকারের স্ক্রিন আছে এমন সকল ডিভাইস যেমন ট্যাবলেট এবং স্মার্ট টিভিও সমর্থন দিতে শুরু করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে, আজকালকার অ্যাপ ডেভেলপারদের থেকেও আশা করা হয় নানান ধরণের ছবির আকার এবং লেআউটের সমর্থন তারা দেবেন যাতে এই সকল হরেক আকারের স্ক্রিনের আকার সমর্থন করা যায়।
লেআউট তৈরি করার ব্যাপারটি বেশ সময় সাপেক্ষ হলেও, ইমেজের বিভিন্ন আকার নিয়ে কাজ করার বিষয়টি সহজ করেছে ভেক্টর অ্যাসেট স্টুডিও।
হার্ডওয়্যার সেন্সর প্রাপ্যতা
অ্যান্ড্রয়েড এসডিকে সমর্থন করে এমন সব ধরণের হার্ডওয়্যার সেন্সর আছে কতিপয় হাতে গোণা কয়েকটি হাই-এন্ড ডিভাইসেই কেবল। এই কারণে, ডেভেলপারদেরকে এমন ধরণের অ্যাপ লিখতে হবে যা রান করার সময় বুঝে নিতে পারবে কোন কোন হার্ডওয়্যার কার্যকারিতা তাতে সমর্থিত আছে, এবং সম্ভাব্য ক্ষেত্রে প্রয়োজন অনুযায়ী অ্যাপকে দিয়ে কাজ করানো।
অ্যান্ড্রয়েড এসডিকে (সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্ট কিট)-তে এই কাজকে সহজ করতে রয়েছে একটি সেন্সর ফ্রেমওয়ার্ক। অপরদিকে, গুগল প্লে-তে থাকা ফিল্টারের সাহায্যে ডেভেলপাররা চাইলে তাদের অ্যাপ সেই সব ডিভাইসে ইনস্টল করতে দিতে বিরত রাখতে পারে, যেগুলোতে আবশ্যকীয় হার্ডওয়্যার বৈশিষ্ট্যগুলো অনুপস্থিত।
সাম্প্রতিক প্রবনতা
অ্যান্ড্রয়েডের প্লাটফরমটি ক্রমান্বয়েই উন্নততর হচ্ছে এবং অ্যাপ ডেভেলপারদেরকেও অবশ্যই সাম্প্রতিক প্রবনতার দিকে খেয়াল রাখতে হবে যাতে তারা ব্যবহারকারিদের চাহিদা আঁচ করে উপযুক্ত অ্যাপ তৈরি করতে পারেন।
ম্যাটেরিয়াল ডিজাইন
ম্যাটেরিয়াল ডিজাইন হলো সুচিন্তিত ও পরীক্ষিত কিছু ডিজাইন নির্দেশিকা যা আপনি অনুসরণ করে এমন অ্যাপ তৈরি করতে পারেন যেগুলো অ্যান্ড্রয়েড ললিপপ এবং মার্শম্যালো এর নেটিভ লুক-এন-ফিল এর সাথে মিল রেখে ডিজাইন করতে সহায়তা দেবে। এর সহজ এবং মডার্ন লুক এর কারণে ডেভেলপার এবং ডিজাইনার উভয়েই ম্যাটেরিয়াল ডিজাইন পছন্দ করে থাকেন।
অ্যান্ড্রয়েড পরিধেয়
অ্যান্ড্রয়েড পরিধেয় স্মার্ট ঘড়িগুলো ক্রমশই বিপুল জনপ্রিয় হচ্ছে কারণ সর্বশেষ মডেলগুলো অনেক আকর্ষণীয় দেখতে এবং এমন বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেমন নতুন এবং উন্নততর জেশচার এবং ওয়াচ ফেসেস যেগুলোর কারণে এগুলো ব্যবহার করে মজা পাওয়া যায়। এর ফলশ্রুতিতে, আরও বেশি ডেভেলপাররা ক্রমশ ওয়্যার এপিআই ব্যবহার শুরু করেছে তাদের অ্যাপগুলোতে, যাতে তাদের অ্যাপগুলো পরিধেয় ডিভাইসগুলোর সাথে যোগাযোগ করতে পারে।
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ প্রকাশ
আপনার অ্যাপটি তৈরি শেষ হলে, আপনি একে অনলাইনে প্রকাশ করতে পারেন, যাতে বিশ্বের সকল মানুষ সেটি ডাউনলোড করে ব্যবহার করতে পারে। অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ এর জন্য অনেকগুলো বাজার রয়েছে যেখানে আপনি আপনার অ্যাপ প্রকাশ করতে পারেন, তবে আজ পর্যন্ত সবচেয়ে জনপ্রিয় হলো গুগল প্লে কারণ এটি বেশিরভাগ অ্যান্ড্রয়েড ডিভাইসেই প্রি-ইনস্টলড হয়ে আসে।
গুগল প্লে-তে আপনার অ্যাপ প্রকাশ করার জন্য, আপনাকে অবশ্যই নিবন্ধন ফি বাবদ ২৫ ডলার দিতে হবে এবং সেখানে একটি ডেভেলপার অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে। আপনার অ্যাকাউন্ট হয়ে গেলে, অ্যাপ প্রকাশ করার জন্য আপনার অ্যাপ এর এপিকে ফাইলটি আপলোড করতে হবে—একটি কম্প্রেস করা প্যাকেজ ফাইল যা অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও দিয়ে তৈরি করবেন—সাথে কয়েকটি স্ক্রিনশট এবং বিবরণ, যেমন অ্যাপটির নাম এবং বিস্তারিত।
সকল বিস্তারিত জমা দেবার পর, আপনাকে কয়েক ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে অ্যাপটি লাইভ হবার জন্য। ২০১৫ এর প্রথমার্ধে, গুগল প্লে একটি অ্যাপ অনুমোদন প্রক্রিয়া প্রকাশ করেছে যাতে প্রকাশকৃত অ্যাপগুলোতে গুগল-এর কন্টেন্ট পলিসি অনুসৃত হয়ে থাকে।
অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ থেকে আয়
অ্যান্ড্রয়েডের অ্যাপ তৈরি করা মজার আর নিজের অ্যাপ গুগল প্লে-তে লাইভ হতে দেখার আনন্দ আর অন্য কিছুর সাথে তুলনা চলে না। আর আপনি যখন অ্যাপটি বানাতে যথেষ্ট পরিশ্রম করেছেন, কেন তার থেকে আয়ও করবেন না? বর্তমানে অনেকেই অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ বানিয়েই জীবিকা নির্বাহ করছেন, এবং আপনার অ্যাপটি যদি যথেষ্ট ভালো হয়, আপনিও পারবেন।
অ্যাপ থেকে আয়ের অনেকগুলো পথ রয়েছে। এখানে তিনটি জনপ্রিয় উপায়ের কথা বলা হলো, এর সবগুলোই গুগলের সেবা ব্যবহার করে করা হয়।
- বিক্রি করুন গুগল প্লে-তে: বেশিরভাগ দেশেই, ডেভেলপারদেকে গুগল প্লে-তে প্রিমিয়াম অ্যাপ প্রকাশ করতে দেয়া হয়ে থাকে। বিনামূল্যের অ্যাপগুলোর বিপরীতে, একটি প্রিমিয়াম অ্যাপ তখনই ডাউনলোড করা যায় যখন তার ব্যবহারকারী সেটির জন্য মূল্য পরিশোধ করেন। একটি অ্যাপ তৈরি করে টাকা আয়ের জন্য এটাই সবচেয়ে সহজ উপায় কারণ আপনাকে এই কাজের জন্য কোনো কোড লিখতে হয় না।
- বিজ্ঞাপন প্রদর্শন: গুগল এর মোবাইল অ্যাডস এসডিকে ব্যবহার করে, ব্যানার বা অন্যান্য কৌশলের বিজ্ঞাপন আপনার অ্যাপ-এ প্রদর্শন করতে পারেন। এই উপায়ে আপনি কোনো ব্যবহারকারি যতবার বিজ্ঞাপনটি দেখবে বা তাতে ক্লিক করবে, ততবারই আয় করতে পারবেন।
-
অ্যাপ এর ভেতরে বিক্রয়: ইন-অ্যাপ বিলিং এপিআই ব্যবহার করে, আপনি ব্যবহারকারির কাছে ডিজিটাল আইটেম বিক্রি করতে পারেন, যারা আপনার অ্যাপটি ব্যবহার করছেন তাদের কাছে। যেমন, আপনি হয়তো আপনার অ্যাপটি ফ্রি করে দিলেন, তবে কোনো বিশেষ ফিচার উন্মুক্ত করতে একটি ছোট্ট ফি নিতে পারেন। এধরণের অ্যাপগুলোকে সচরাচর ফ্রিমিয়াম অ্যাপ বলে ডাকা হয়।
উপসংহার
আমি আশা করছি ইতোমধ্যেই আপনি বর্তমানে অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট বলতে কী বোঝায় তার সাধারণ ধারণা পেয়ে গেছেন। অনেক প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপমেন্ট বেশ সহজ কেননা, অনলাইনে এর বিশদ ডকুমেন্টেশন আছে এবং এর ডেভেলপমেন্ট টুলগুলো প্রতিনিয়তই উন্নততর হচ্ছে।
এই সিরিজের পরবর্তী পোস্টে, আপনি একজন অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপ ডেভেলপার হবার প্রথম ধাপ অর্থাৎ নিজের কম্পিউটারে অ্যান্ড্রয়েড স্টুডিও সেটআপ করার উপায় সম্পর্কে জানতে পারবেন।